Search Results
23 results found with an empty search
- ঘূর্ণিঝড় 'দানা': বাংলার উপর আসন্ন বিপদ
এতক্ষণে আমরা জেনে গেছি, বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আবির্ভাব ঘটেছে যার নাম দেওয়া হয়েছে 'দানা'। আবহাওয়াবিদদের মতে, এই ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় বিস্তর ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু একটি ঘুর্ণি ঝড়ের নাম 'দানা' কিভাবে হল? এর অর্থই বা কি? আসুন জেনে নিই 'দানা' সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। 'দানা' - কি অর্থ এবং কারা দিল এই নাম? 'দানা' নামটি আরবি শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ 'সবচেয়ে নিখুঁত আকারের, মূল্যবান এবং সুন্দর মুক্তা'। কাতার দেশ এই নামটি প্রস্তাব করেছে। প্রসঙ্গত বলে রাখি, ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের পেছনে মূল কারণ জনসাধারণকে আগাম সতর্ক করা এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন করা। 'দানা'র সম্ভাব্য প্রভাব: ভারী বৃষ্টিপাত: ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জলোচ্ছ্বাস: উপকূলবর্তী এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। বাড়িঘর ও ফসলের ক্ষতি: প্রবল বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বাড়িঘর, ফসল এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আমরা কী করব? সতর্ক থাকুন: আবহাওয়াবিদের পরামর্শ মেনে চলুন। সুরক্ষিত আশ্রয়স্থল খুঁজুন: যদি আপনি উপকূলবর্তী এলাকায় থাকেন, তাহলে সুরক্ষিত আশ্রয়স্থল খুঁজে নিন। জরুরি সামগ্রী রাখুন: খাবার, জল, ওষুধ ইত্যাদি জরুরি সামগ্রী রাখুন। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন: ঝড়ের সময় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখুন। বৃক্ষের নীচে দাঁড়াবেন না: ঝড়ের সময় বৃক্ষের নীচে দাঁড়াবেন না। আর অবশ্যই রাস্তার অবলা প্রানীদের নিরাপদ আশ্রয় দিন। সরকারি প্রশাসনের ভূমিকা: সরকারি প্রশাসন এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত। ত্রাণ বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত। বিঃদ্রঃ: সর্বশেষ তথ্যের জন্য নীচের লিংকে চোখ রাখুন অথবা আপনার স্থানীয় আবহাওয়া দফতরের সাথে যোগাযোগ করুন। https://zoom.earth/storms/dana-2024
- দুর্গা পূজার প্রেক্ষাপটে: ৭টি বলিউড সিনেমা
সবে মা দুর্গা কৈলাশে তার নিজের সংসারে ফিরেছেন। সাতদিনের উৎসব শেষে এখনও আমাদের ইনস্টাগ্রাম স্টোরি ও মনের আনাচ কানাচ বলছে বাঙালি এখনও মা কে মন থেকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত নয়। এদিকে আকাশে মেঘের ঘনঘটা আর ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’র চোখরাঙানি এনে দিতে পারে অপ্রত্যাশিত দুইদিনের ছূটি বা ওয়ার্ক ফ্রম হোম। তাহলে আসুন এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেখে নিই সাতটি বলিউড ছবির তালিকা যেখানে আপনি ঘরে বসে আরও একবার দুর্গা পুজার আঁচে নিজের মনকে উৎসবের কড়াপাকে তরতাজা করে নিতে পারবেন । ১. রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি (2023) করণ জোহর পরিচালিত এই ছবিতে, রকি রন্ধাওয়া (রনভীর সিং) এবং রানি চ্যাটার্জি প্রেমে পড়েন। সিনেমার একটি পর্যায়ে দুই পরিবারের সম্মতি পাওয়ার চেষ্টায় তারা দুই পরিবারকে দেখা করায় দুর্গা পুজা উপলক্ষে। এটি এই ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য, যেখানে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায় এবং গল্প গতি নেয়। তবে টোটা রায়চৌধুরি আর রনভীর সিং-এর মা দুর্গার সামনে "ডোলা রে ডোলা" গানের তালে নাচ, এই সিনেমাটিকে একটি অন্য মাত্রা দিয়েছে সেবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ২. গুণ্ডে (2014) আলি আব্বাস জাফর পরিচালিত “গুণ্ডে” ছবিতেও দুর্গা পূজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানে, দুই বন্ধুর (বিক্রম ও বালা) মধ্যে প্রেম এবং প্রতিশোধের সংঘাত ঘটে, যেখানে নন্দিতা (প্রিয়াঙ্কা চোপড়া) তাদের সম্পর্ককে আরও জটিল করে তোলে। ৩. লুটেরা (2013) “লুটেরা” ছবির শুরুই হয় দুর্গা পূজার পটভূমিতে । উৎসবের আনন্দের মাঝে সুধামিনী পাখি রায় চৌধুরী (সোনাক্ষী সিনহা)-র অ্যাস্থমা অ্যাটাক গল্পের গতিবিধিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এখানে নজরকাড়া পুজোর দৃশ্য মনকে স্নিগ্ধ করে তোলে। ৪. কাহানি (2012) সুজয় ঘোষ পরিচালিত , বিদ্যা বালান অভিনীত “কাহানি” ছবিতে দুর্গা পূজাই হল মূল চরিত্র। গল্পের অধিকাংশ অংশই উৎসবের চারপাশে ঘোরে, এবং ছবির শকিং ক্লাইম্যাক্স ঘটে দশমীর দিনে। উৎসবের আনন্দের মাঝে, দুর্গা পূজাকে ব্যবহার করা হয়েছে বিদ্যা বাগচীর (বিদ্যা বালান) প্রতিশোধ নেওয়ার উপকরণ হিসেবে।এই ছবিতে দেখানো কলকাতার পুজা, সিঁদুর খেলা, লালপাড় সাদা শড়ি আপনাকে আপনার পুজোতে কাটানো সেরা মুহুর্তগুলো মনে পড়াবেই। ৫. ভিকি ডোনর (2012) সুজিত সরকার পরিচালিত “ভিকি ডোনর”-এ ভিকি (আয়ুষ্মান খুরানা) এবং অসিমার (যামি গৌতম) সম্পর্কের উষ্ণতা ও দুর্গা পূজার আনন্দ মিলে মিশে যায়। তাদের প্যান্ডাল হপিং- এর দৃশ্যপট গুলি আপনাকে আরও একবার নস্টালজিক করে তুলবেই। ৬. পরিণীতা (2005) প্রদীপ সরকার পরিচালিত “পরিণীতা” ছবিতে দুর্গা পূজার সময় গিরীশের (সঞ্জয় দত্ত) ধুনুচি নাচ একটি নাটকীয় মুহূর্ত সৃষ্টি করে। মনে করিয়ে দিই গিরীশ যখন ধুনুচি নাচে মগ্ন, তখন ললিতা তাকে আগুনে পোড়া থেকে রক্ষা করে। সেই ললিতা আর শেখরের ভুল বোঝাবুঝির শুরু। ৭. দেবদাস (2002) সঞ্জয় লীলা বনশালী পরিচালিত “দেবদাস”-এর ডোলা রে ডোলা গানটি বলিউড সিনেমার ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দুর্গা পূজা দৃশ্য। পারো (ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন) এবং চন্দ্রমুখী (মাধুরী দীক্ষিত)-এর দুর্গা পূজার প্যান্ডেলে ‘ডোলা রে’ গানের সাথে নাচের যুগলবন্দী আলোচনায় থেকে যাবে আরও বহু যুগ। দুর্গা পূজা শুধু বাঙ্গালীদের একটি উৎসব নয়, এটি ভারতীয় সংস্কৃতি এবং চলচ্চিত্রের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ওপরে আলোচিত হিন্দীভাষার সিনেমাগুলি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে দুর্গা পূজার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে, যা ছায়া ও ছবির খেলায় উৎসবের আনন্দকে চিরন্তন করে রাখে। তাহলে পড়ে পাওয়া ছুটিতে বা এই সপ্তাহান্তে চা বা কফি নিয়ে বসে যান আরও একবার রূপোলি পর্দায় মা দুর্গাকে ছুঁয়ে দেখার জন্য!
- আসন্ন শীতের জন্য ত্বকের যত্ন নেবেন কিভাবে? এখনই জেনে নিন।
ক্যালেন্ডার বলছে হেমন্তকাল বাংলায় আসন পেতে বসেছে। বাতাস বলছে আর্দ্রতা কমতে শুরু করেছে। ত্বক বলছে এবার একটু বাড়তি যত্ন চাই। তাই এই সময়ে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য কিছু বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এদিকে অফিস , বাড়ি সামলে পার্লারে যাওয়ার সময় কোথায় ? পুজোর পরে পকেটও হালকা। আসুন জেনে নিই খুব সহজে বাড়িতে কাজের ফাঁকে কিভাবে আসন্ন শীতের জন্য নিজের ত্বককে প্রস্তুত করবেন - নিয়মিত নারকেল তেলের ব্যবহার - নিয়মিত নারকেল তেলের ব্যবহার ত্বককে কোমল ও মসৃণ করে তোলে। এটি বাজারে পাওয়া অন্যান্য তেল, যেমন অলিভ অয়েল বা আমন্ড অয়েলের তুলনায় অনেক সস্তা ও সহজলভ্য। তবে নারকেলে তেলের কোয়ালিটির দিকে ব্যবহারের আগে অবশ্যই নজর দেওয়া উচিত। ভার্জিন কোকোনাট অয়েল বা ফুড গ্রেড নারকেল তেল কিনলে তাতে অন্য কোনো উপাদান মেশানোর সম্ভাবনা থাকে না। সঠিক সিরাম নির্বাচন - অনেকে শীতকালে ভিটামিন সি বা রেটিনল জাতীয় সিরাম ব্যবহার করেন। এই ধরনের সিরামের জন্য শীতকালে ত্বকের বাড়তি ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন হতে পারে, তাই সঠিক সিরাম নির্বাচনে নজর রাখুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ত্বকে মধুর ব্যবহার - সপ্তাহে ১-২ দিন মধুর প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। সরাসরি মধু ত্বকে ম্যাসাজ করুন এবং ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে হলুদ বা অ্যালোভেরা জেল মিশিয়েও মধু ব্যবহার করতে পারেন। সানস্ক্রিন - শীতকালে সানস্ক্রিনের ব্যবহার অব্যাহত রাখতে ভুলবেন না। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করতে ময়েশ্চরাইজার মেখে তার ৫ মিনিট বাদে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। যারা শেভ করার পর আফটার শেভ ব্যবহার করেন, তাদের জন্য পরামর্শ হলো ‘অ্যালকোহল-ফ্রি’ আফটার শেভ বেছে নেওয়া। কারণ অ্যালকোহল ত্বককে আরও শুষ্ক করে দিতে পারে। শেভ করার পর মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করুন। শীতে অনেকের জল খাওয়ার অভ্যাস কমে যায়। এ ধরনের অভ্যাস ত্যাগ করুন, কারণ ত্বকের জন্য নিয়মিত জল পান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শীতে ঠোঁট ফাটার সমস্যা হলে, সবসময় ব্যাগে বা পকেটে লিপ বামের একটি কৌটো রাখা উচিত। এই সাধারণ টিপসগুলো মেনে চললে শীতে ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে পারবেন।
- এই শীতে বেড়িয়ে আসুন হাম্পি: বিজয়নগর সাম্রাজ্যের ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ
এই শীতে বেড়িয়ে আসুন হাম্পি: বিজয়নগর সাম্রাজ্যের ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ বেড়াতে যাওয়ার পছন্দের জায়গা জানতে একটা কমন প্রশ্ন করা হয়, পাহাড় না সমুদ্র? এই শীতে এই কমন প্রশ্নের উত্তরে একটা আনকমন উররর দিন। উত্তরে বলুন- হাম্পি। কেন যাবেন ? আপনি যদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হন, তাহলে হারিয়ে যাওয়া বিজয়নগর সাম্রাজ্যের রাজধানী বিজয়নগরের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আপনাকে অবশ্যই হাম্পিতে যেতে হবে। হাম্পি, উত্তর কর্নাটকের বেলারি জেলার একটি গ্রাম, যা হসপেট শহরের কাছে অবস্থিত। এখানে দ্রাবিড় স্থাপত্য, মন্দির ও প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে আছে, যা চোখে পড়ার মতো। এই কারণেই হাম্পি গ্রামটি ইউনেস্কো কর্তৃক অন্যতম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত। বিজয়নগর সাম্রাজ্য ভারতের ইতিহাসে অত্যন্ত পরিচিত। এই রাজবংশের প্রধান শাসক ছিলেন কৃষ্ণদেবরায়। বিজয়নগর সাম্রাজ্যের প্রধান ঈশ্বর হিসেবে ভগবান শিব (বিরূপাক্ষেশ্বর) এবং দেবী পার্বতী (পম্পা) কে পূজিত করা হয়। হাম্পির মন্দিরগুলো আংশিক ও কিছু মন্দির সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। রয়ে গেছে কানে কানে গল্প বলা ইতিহাস। এছাড়া হাম্পির চোখজুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনার মন জয় করবেই। আসুন জেনে নিই হাপমিতে গিয়ে কি কি দেখবেন ১. বিরুপাক্ষ মন্দির: এই মন্দির ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত। এটি সপ্তম শতাব্দী থেকে অবিচ্ছিন্নভাবে রয়েছে এবং ভারতের প্রাচীনতম কার্যকরী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম। মন্দিরের গর্ভগৃহের বাঁদিকে ভুবনেশ্বরী মন্দির এবং গর্ভগৃহের পিছনে বিরুপাক্ষেশ্বর গোপুরমের উলটানো রূপ রয়েছে। ২. বিজয়া বিট্টলা স্মৃতিস্তম্ভ: এটি একটি মূর্তিবিহীন স্মৃতিস্তম্ভ, যেখানে কোনও পুরোহিত নেই। পাথরের রথ এবং মিউজিক স্তম্ভ এখানে দেখা যায়। ৩. হাজারা রাম স্মৃতিসৌধ: এই মন্দিরটিও মূর্তি বিহীন, যেখানে রামায়ণ সম্পর্কিত ১০০০ শিল্পকলা খোদিত রয়েছে। ৪. রানির স্নানাগার: রাজা এবং তাঁর স্ত্রীদের জন্য রাজকীয় স্নানপর্বের বিলাসিতার প্রতীক। জটিল নকশা এবং গম্বুজ আকৃতির অসামান্য কারুকাজ এখানে দেখা যায়। ৫. লোটাস মহল: এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ স্থাপনা, যা ইন্দো-ইসলামিক স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত। পদ্ম-আকৃতির কাঠামো এবং খিলানযুক্ত জানালাগুলি এই মহলের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ৬. প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘর: এখানে চতুর্দশ থেকে ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যে আসা পর্যটকদের স্মৃতিচিহ্নগুলো সংরক্ষিত রয়েছে। কীভাবে যাবেন কলকাতা থেকে ট্রেনে বা বিমানে বেঙ্গালুরু যেতে পারেন। সেখান থেকে গাড়িতে হাম্পি যেতে হবে, যা প্রায় তিনশো কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। সময় লাগবে প্রায় ছয় ঘণ্টা। থাকার ব্যবস্থা হাম্পিতে অনেক ছোট-বড় হোটেল এবং গেস্ট হাউস রয়েছে। তবে হাম্পি বাজারের কাছে থাকা সবচেয়ে সুবিধাজনক। হাম্পি ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একসাথে মিলে একটি অনন্য অভিজ্ঞতা, যা আপনার প্রিয় ভ্রমনতালিকায় জায়গা করে নেবেই। https://en.m.wikipedia.org/wiki/Hampi_(town)
- মাত্র ২০৬ টাকায় কেরল ভ্রমনের গল্প।
গত বছর জুলাই মাসে যেদিন কলকাতায় সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার সেই দুপুরে অফিস ডুব দিয়েছিলাম বাড়ির ব্যালকনিতে বসে সবুজ গাছেদের স্নান দেখব বলে। গুগল খুলে দেশ-বিদেশের খবর পড়া আমার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। সেই অলস দুপুরে গুগল নিউজের অতল সাগরে ডুব দিয়ে খুঁজে পেলাম মুক্তো! চোখ আটকে গেল একটা খবরে - Kerala Tourism has launched a 24x7 WhatsApp chatbot named 'Maya' এবং সেই উপলক্ষ্যে 'Holiday Heist' নামে এক অভিনব interactive bidding game চালু করেছে তারা। পদ্ধতি খুবই সহজ। ‘মায়া’ কে 7510512345 নম্বরে হোয়া্টস্যা্প করে একটা ‘হাই’ পাঠাতে হবে। এরপর পুরো জুলাই মাস জুড়ে ‘মায়া’ আপনাকে ঠিক দুপুর দুটোয় একটা করে দাম সহ ট্রাভেল প্যাকেজ (আবশ্যই কেরলের) পাঠাবে এবং আপনাকে উত্তরে সেই প্যাকেজের একটা মূল্য নির্ধারণ করে পাঠাতে হবে। যদি আপনার পাঠানো মূল্য lowest & unique হয় , তাহলেই আপনি আপনার পাঠানো দামে জিতে যাবেন সেই ট্রাভেল প্যাকেজটি; আবার পরেরদিন ঠিক দুপুর তিনটেয় winning bidding price জানিয়ে দেবে মায়া নিজেই। ততদিনে প্রতিযোগিতার দশ-বারো দিন অতিক্রান্ত, তাও আমি কৌতুহল বসে মায়া-কে ‘হাই’ পাঠালাম এব ফেক ভেবে গোটা বিষয়টা ভুলে গেলাম। পরেরদিন আফিসে কাজের ভীড়ে আমার সাইলেন্ট করা মোবাইল ফোনে আলো জ্বলে উঠল। মায়া মুন্নার আর আলেপ্পির ১৭,০০০ টাকার একটা তিন দিন চার রাতের ট্রাভেল প্যাকেজ পাঠিয়েছে। এবারও ফেক ভেবে ক্যাসুয়ালি একটা বিডিং নাম্বার পাঠিয়ে দিলাম। এরপর দু-তিন দিন কাজের চাপে আর মায়ার ছায়াতেও হাত দেওয়া হয়নি। কাট-টু - কয়েক দিন পরে বেশ রাতের দিকে মায়ার পাঠানো জমে থাকা ট্রাভেল প্যাকেজগুলো দেখে চোখকে আরাম দিচ্ছি এমন সময়ে পাশ থেকে আমার ডোমেস্টিক পার্টনার উঁকি দিয়ে জিজ্ঞেস করল কি ব্যাপার। আমিও গুগল থেকে অর্জিত জ্ঞ্যানভান্ডার উজাড় করলাম। সেও হেসে ‘এসব ফেক’ বলে আমার ফোন থেকে সেদিনের ৩২০০০ টাকার প্যাকেজ টার bidding price ২০৬ লিখে পাঠিয়ে দিল। পরেরদিন অফিস মিটিং-এ ঝাড় খাচ্ছি, মোবাইলের আলো জানান দিল নতুন খবর আগমনের। মিটিং শেষে ফোন চেক করতে দেখতে পেলাম মায়া লিখেছে- ‘yesterday’s winning amount is 206 for Munnar- Vagamon – Kumarakon package’! মেসেজ দেখে আমি তিনটে কাজ করলাম। এক, দুবার চোখ কচলালাম এবং আবার চেক করলাম। দুই, তেনাকে মেসেজটা ফরোয়ার্ড করলাম। তিন, দুজনে ফোনে ‘এসব স্ক্যাম, এক্ষুনি টাকা চাইবে’ এসব বলে খুব হ্যা হ্যা হি হি করলাম। এরপরের ঘটনা ছোটবেলায় করা সরল অঙ্কের মতো। একটা ফোন এল; ডিটেইল ট্রাভেল প্যাকেজ মেইলে এল; কথা হল কোচি টু কোচি সব খরচ কেরল সরকারের, অতএব আমরা যেন টিকিট বুক করে জানিয়ে দিই কারণ গাড়ি আসবে নিতে এবং সেই গাড়ি প্যাকেজের সাড়ে পাঁচদিন আমাদের সাথেই থাকবে। শর্ত একটাই, ঘুরতে গিয়ে কয়েকটা ছবি @keralatourism কে ট্যাগ করে পোস্ট করতে হবে। ৮২০ টা গুগল পে এর স্ক্র্যাচকার্ড ঘষে মোট ছয় টাকা রিওয়ার্ড পাওয়া আমরা দুজন ‘এসব ফেক’ বলে অফিসে ছুটির এপ্লাই করলাম এবং যা হবে দেখা যাবে বলে উড়ে গেলাম কোচি। আমাদের অবাক করে দিয়ে সত্যিই চকচকে একটা গাড়ি এয়ারপোর্টে নিতে এল। দারুন সব জায়গা ঘোরালো। দুই জায়গায় ফোর স্টার এবং এক জায়গায় ফাইভ স্টার প্রপার্টিতে রাখল, বারবার ফোন করে খবর নিল আমরা কেমন ঘুরছি, এবং ‘সরকারের অতিথি’ বলে দারুন খাতির করল। এই লেখা ঘুরতে যাওয়ার নয়, হঠাৎ পাওয়া ঘুরতে যাওয়ার সুযোগের। তাই ঘোরার গল্প পরে একদিন বলব। আজ আপাতত কয়েকটা ছবি আর কেরল ট্যুরিজমের অফিসিয়াল ইন্টা হ্যান্ডেলে আমাদের ঘুরতে যাওয়ার খবরের লিংক টা রইল। https://www.instagram. com/p/CxXQZ_pvkV1/?img_index=3
- ভালো পাঠক হওয়ার ১০ টি সহজ ও কার্যকর উপায়।
ভালো পাঠক হওয়ার ১০ টি সেরা উপায়। বই আমাদের প্রিয় বন্ধু – সারাজীবনে আমরা এই কথাটা বিভিন্নভাবে পড়েছি, জেনেছি, অনুভব করেছি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার দরুণ আমদের ‘স্ক্রিন টাইম’ বাড়ছে এবং ‘বুক টাইম’ তলানিতে ঠেকেছে। অনেকে আবার পড়তে ভালোবাসে কিন্তু মন দিয়ে আর পড়তে পারে না। এর কারণ নিয়ে বিশদ আলোচনায় আজ আর যাচ্ছি না। আজ বরং মন দিই কিভাবে ভাল পাঠক হওয়া যায় আর কিভাবে আবার পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা যায় সেই সমাধানে। নিচে কিভাবে একজন ভালো পাঠক হওয়া যায় তার ১০টি সেরা টিপস উল্লেখ করা হলো: ১) যে বইগুলো আপনাকে আনন্দ দেয় সেগুলো পড়ুন যতক্ষণ না আপনি পড়ার অভ্যাস আবার গড়ে তুলছেন। কোন ধরণের বই আপনাকে মাথাকে আরাম দিচ্ছে করে তা খুঁজে বের করুন এবং সেসব বই পড়ুন। ২) কোনো বই শুধুমাত্র আপনার ‘পড়া উচিত’ বলে পড়া শুরু করবেন না। জীবনে অনেককিছুই বাধ্যতামূলক ভাবে আমাদের করতে হয়। কিন্তু এটি একটি নতুন বই পড়তে শুরু করার জন্য কখনোই যথেষ্ট কারণ নয়। ৩) সঠিক বই সঠিক সময়ে আপনাকে ঠিকই খুঁজে নেবে যদি আপনি কেবল আপনার কৌতূহলকে অনুসরণ করেন। আমি আমার জীবন বদলে যাওয়া যে বইগুলো পড়েছি তা অন্যদের সুপারিশে নয়, বরং আমার নিজের কৌতূহল অনুসরণ করে এসেছে। ৪) পুরো বইটি একেবারে পড়ার পরিবর্তে বইটির কয়েকটি পাতা উল্টে প্রথমে দেখে নিন এবং আকর্ষনীয় কিছু পেলে সেখান থেকেই পড়া শুরু করুন। ৫) পড়তে থাকা বই শেষ করার উপর জোর দেবেন না। আপনি কি একটি ইউটিউব ভিডিও শেষ না করার জন্য দোষী অনুভব করেন? নিশ্চয়ই না। আপনি স্বাচ্ছন্দ্যে স্কিপ করেন, যা এবং যতটুকু প্রয়োজন তা খুঁজে পেলেই ভিডিওটি স্বচ্ছন্দে বন্ধ করেন। বইয়ের ক্ষেত্রেও সমান নিয়মই প্রযোয্য। ৬) বইটি বন্ধ করার সময় যদি পড়ার আগ্রহ হারান এবং আবার শুরু করার তাগিদ অনুভব না করেন তাহলে সেটি আপনার জন্য নয়। এটি এড়িয়ে যান এবং কিছু এমন কিছু খুঁজুন যা আপনাকে আকৃষ্ট করবে। ৭) বই শুধু পড়লেই হবে না, সেগুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করুন। একট গোটা বইতে আপনার শিক্ষনীয় বিষয়গুলো আলাদা করুন এবং সেগুলো প্রয়োগ করে আপনার অভ্যাস, জীবনযাপন বা ব্যবসা উন্নত করুন। ৮) যদি আপনি কোনও ই-বুক বা অডিওবুক পছন্দ করেন, তাহলে তার একটি হার্টকপিও কিনুন এবং পছন্দের জায়গাগুলো ছাপার অক্ষরে খুঁজে বের করে আবার পড়ুন। এটি মনঃসংযোগ বাড়াতে বিপুল সাহায্য করে। ৯) যদি একটি বই আপনার জীবন পরিবর্তন করে, তাহলে চেষ্টা করুন বছরে একবার করে এটি পড়তে। প্রয়্যেকবার নতুন আবিস্কারের আমন্দ দেবে এই অভ্যাস। ১০) আপনার প্রিয় বইগুলো পুনরায় পড়া আপনাকে ধারণাগুলো সময়ে সময়ে পুনঃগঠনে সাহায্য করে এবং এগুলোকে দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিতে সংরক্ষণ করতে সহায়তা করে। সবশেষে শুরুতেই আবার ফিরে যাব এবং বলবো ‘বই’ এর বিকল্প সত্যিই নেই। বই পড়ুন ও পড়ান এবং এই লেখা এতটা পড়ে ফেলেছেন মানেই আপনি অবশ্যই একজন সু পাঠক হওয়ার প্রাথমিক পরীক্ষায় সসন্মানে উত্তীর্ণ।
- জুলিয়া বাটারফ্লাই হিল: পরিবেশ রক্ষার লড়াইয়ের এক অদম্য সৈনিক
জুলিয়া বাটারফ্লাই হিল: পরিবেশ রক্ষার লড়াইয়ের এক অদম্য সৈনিক জুলিয়া বাটারফ্লাই হিল নামটি শুনলে প্রথমেই মনে আসে এক অনন্য পরিবেশ কর্মীর কথা, যিনি টানা দু'বছর একটি গাছের ওপর বাস করে বিশ্বকে দেখিয়েছিলেন প্রকৃতি রক্ষার গুরুত্ব। ১৯৯৭ সালে জুলিয়া হিল ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিশাল রেডউড গাছ, যা "লুনা" নামে পরিচিত, তার ওপর বাস করেন প্রায় ৭৩৮ দিন। তার লক্ষ্য ছিল একটি প্রাচীন অরন্যকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা। প্রতিবাদের শুরু জুলিয়া হিলের পরিবেশ আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয় প্যাসিফিক নর্থওয়েস্টে। তিনি সেখানে গিয়ে প্রথমবার দেখতে পান, কীভাবে প্রাচীন রেডউড অরণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে। এই বনভূমি হাজার বছরের পুরনো, এবং এর গাছগুলি অনেক বড় ও দীর্ঘস্থায়ী, যা বনাঞ্চল ও বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। বিশেষ করে প্যাসিফিক লাম্বার কোম্পানি এই গাছগুলি কাটার কাজে লিপ্ত ছিল, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। লুনার ওপর বাস ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে জুলিয়া হিল একটি গাছের ওপর ওঠার সিদ্ধান্ত নেন এবং সেখানে যতদিন প্রয়োজন, ততদিন থাকার সংকল্প করেন। ১৮০ ফুট উঁচু লুনা গাছের ওপর একটি ছোট প্ল্যাটফর্মে তিনি বাস করতে থাকেন। এই সময় তিনি মুখোমুখি হন প্রচুর প্রতিকূলতার—ঝড়, প্রবল ঠাণ্ডা, বৃষ্টি, এমনকি logging কোম্পানির হুমকিও। কয়েকবার তাদের হেলিকপ্টার এত কাছাকাছি উড়ে আসে যে জুলিয়া প্রায় পড়ে যাওয়ার অবস্থায় পৌঁছেছিলেন। গাছের ওপরের জীবন দু'বছর ধরে গাছের ওপর বসবাস করা সহজ ছিল না। জুলিয়া হিলের কাছে যা প্রয়োজন ছিল, সেগুলি দড়ির সাহায্যে তুলে দেওয়া হতো। জল সংগ্রহ করার জন্য তিনি বৃষ্টির জল ব্যবহার করতেন এবং canned খাবার খেয়ে দিন কাটাতেন। প্রকৃতির সাথে একাত্ম হয়ে তিনি তার এই লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন। মিডিয়ার সাহায্যে তিনি তার বার্তা সারা বিশ্বে পৌঁছে দিতে থাকেন, যাতে মানুষ প্রাচীন বন ধ্বংসের বিরুদ্ধে সচেতন হয়। লড়াইয়ের সাফল্য ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে, ৭৩৮ দিনের পরিশ্রমের পর, জুলিয়া হিল এবং logging কোম্পানির মধ্যে একটি চুক্তি হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী, লুনা এবং তার আশেপাশের ২০০ ফুট এলাকা রক্ষা করা হবে, এবং জুলিয়া গাছ থেকে নেমে আসবেন। পরিবেশ সংগঠনগুলি logging কোম্পানিকে $৫০,০০০ দেয় ক্ষতিপূরণ হিসেবে। জুলিয়া হিলের প্রভাব জুলিয়া বাটারফ্লাই হিলের সাহসিকতা সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তার লড়াই শুধু এক গাছ রক্ষার ছিল না, বরং পরিবেশের প্রতি আমাদের দায়িত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। তার লেখা বই, দ্য লেগেসি অব লুনা, তার অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা সম্পর্কে বলে, যা আজও বহু পরিবেশকর্মীকে অনুপ্রাণিত করে। জুলিয়ার এই সাহসিক লড়াই আমাদের দেখিয়ে দেয়, কিভাবে একজন একক ব্যক্তির সংকল্প ও সহিষ্ণুতা একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
- ই-টালি থেকে সরাসরি।
রবিবারের সকালবেলা, ফলে ইটালিয়ান সেলুনওলাদের ব্যস্ততা চরমে। এমনই ব্যস্ত একজনকে দেখে থমকে দাঁড়ালাম। দাঁড়ানোর কারণ পড়ন্ত আলোর সান্দ্র তরলে চোবানো সেই মুখের প্রচ্ছন্ন সুখ। থমকে দাঁড়ালাম কারণ কয়েকটা ইট মানুষকে এত সুখ দিতে পারে, এ যেন আমার বিশ্বাসের পরিধির বাইরে। আজ্ঞে হ্যাঁ, ইটালিয়ান সেলুন দেখতে ইতালি যেতে হবে না। এই শহরের ফুটপাতের সৌন্দর্য দীর্ঘকাল ধরেই তাদের পাতা ইটের দখলে। ইটের ওপরে (ইট ছাড়াও মাটিতে নানা কিছু সিট হয়ে থাকে, আবার অনেক ইটালিয়ান তো চেয়ারে উঠছে) বসিয়ে চুল (মাথা, বগলের) ও দাড়ি কাটা হয় বলে এর নাম ইটালিয়ান সেলুন। কে বা কারা এ নাম দিয়েছে, জানা নেই। তবে, টকমিষ্টি ব্যঙ্গ খানিক মেশানো রয়েছে এই নামে। না, কলকাতার ফুটে কত ইটালিয়ান আছে, তা গুনে ওঠা সম্ভব হয়নি। তবে, আমার মনে হয়, ওই আকাশ যেমন তারায় ভরা, তেমনই এই ইটালিয়ান সেলুন কলকাতার ফুটপাতগুলির সূর্য-তারা । অধিকাংশই বিহারের, কিছু ইউপি, কিছু ওড়িশা, কিছু এ রাজ্যের লোকজন সেই কবে, এ শহরে এসে হরেক ব্যবসার মতোই ফুটপাতের এককোণে প্রতিষ্ঠা করেছিল ইটালিয়ান ঈশ্বরকে, সেই থেকে তারা কলকাতার ফুটপাথ আলো করে বসে । তো, শুরুতে ছিলাম যেখানে, ব্যাস্ত সকালে ফিরি। গাল-ভরা সাবানে ব্লেড-ভরা রেজারের এক টান পড়েছে কি পড়েনি, কটকটে রোদের চোখরাঙ্গানি উপেক্ষা করে নামল বৃষ্টি। ফুটপাতে সেই বৃষ্টির নূপূর বেজে ওঠা মাত্র পাশে গুটিয়ে রাখা প্রকান্ড ছাতা খাটিয়ে বাকি দাড়িটা কাটার চেষ্টার শুরু করলেন খোচা খোচা পাকা দাড়ি শোভিত ভদ্রলোক। কিন্তু বৃষ্টি ততক্ষণে মুষল, ফলে হাফ-দাড়ি শেভের পরই কাপড় দিয়ে সাবান মুছিয়ে-টুছিয়ে কাস্টমারকে বিদায় বন্ধু জানাতেই হচ্ছে। কাস্টমার রণচণ্ডী হলেও, অবস্থা নাচার। তাই ইটালীয় মালমেটিরিয়াল জলদি গুছিয়ে প্রবীণ ক্ষুরকার কাছের শেডের নীচে গুটিসুটি। কাস্টমারটি ততক্ষণে ‘আগলা জনম মে তু শালা কুত্তা হোগা’ বলে বৃষ্টির ফাঁক গলে ভ্যানিস। আর কাকভেজা আমি ঠিক তার পাশেই ছাতুর দোকানের টাঙানো নীল রঙা প্লাস্টিকের নিচে দাঁড়িয়ে মাথা বাচাচ্ছি। পাশেই ছাতুর দোকান কারণ, এক বর্ষাকাল ছাড়া অন্য সময়ের সব দুপুরগুলিতে নাকি বেশ ভিড় হয় এই ভগবৎ শর্মার ইটালিয়ানে। অনেকেই অপেক্ষা করতে তাই ছাতুর দলা চিবোন। এসব গল্প খোদ শর্মাজির মুখ থেকে শুনছি, ঠিক তখনই আকাশে ভেসে এল কিউমুলোনিম্বাস মেঘের একটা বড় দলা। চারপাশে ঝুপ করে নামল অন্ধকারও। ‘বুঝাতা কি এইসন বারখা হোই, সব খতম হো যাই’, আকাশে চোখ বুলিয়ে স্বগতোক্তি শর্মাজির। ছাতার অভ্যেস বহুদিন হল নেই, কাজেই আমি, ইটালিয়ান শর্মা জি আর ছাতুওয়ালা পাড়েলাল আরও ঘন হয়ে বসলাম সেই প্লাস্টিকের ছাউনিকে মাথার ওপরে রেখে। শর্মাজি আজ বছর পঁচিশ এখানে চুল-দাড়ি কাটছেন। বিহারের নওয়াদা জেলার বাসিন্দা। পোস্ট: বাহাদুরপুর। গ্রাম: করিগাঁও। পারিবারিক পেশা ক্ষৌরকর্ম হলেও চাকরির আশায় ‘কলকাত্তায়’ এসে হাজির হয়েছিলেন বছর ত্রিশেক আগে। হিসেব বলছে আমার তখনো এই ধরাধামে আবির্ভাব ই ঘটেনি। যাইহোক এ শহর তখন তাঁর কাছে আগমার্কা অচেনা, কিন্তু কয়েক জন ‘জানল-সুনল লোগ’ ছিল এখানে। তাঁদের একজনকে ধরে চাকরিও জোটালেন ডালহৌসিতে এক অফিসে। কিন্তু সেখানে তালা ঝুলল কয়েক বছর যেতে না যেতে। তখনও শরীরে তারুণ্যের বজ্র নির্ঘোষ, মন মায়াবী এবং মাথায় উপার্জনরর লক্ষ্য স্থির। একদিন ফুটপাতের এই এক চিলতে জায়গাও তাই মিলল। সেই থেকে চুল-দাড়ি বানিয়ে যাচ্ছেন এখানেই আবিরাম। জানালেন, চুল দাড়ি নিয়ে এইবাজারেও তার ৩০ টাকা রেট। চুল ১৫, দাড়ি ১৫। সানডে ছাড়া নো ডিজাইনের চুল কাটাকাটি। কেউ আবদার করলে অবশ্য অর্ধচন্দ্রটা করে দেন। দুটো ছেলে। বড় ছেলেটার বয়স ১৮-১৯। পড়াশুনো করছে— এই ইটালিয়ান-অর্থে। পড়া শেষে চাকরি করতে চায় সে। ভগবতের গলায় এবার আত্মবিশ্বাস। এসব খুচরো কথার মাঝে হঠাৎই পাশ থেকে ছাতুওয়ালা পাড়েলাল বলে উঠলেন, অমিতজির স্টাইলে চুল কাটতে কিন্তু ভগবৎ ওস্তাদ। এ তল্লাটে ওর খুব নাম। অমিতজি মানে বুঝলেন তো অমিতাভ বচ্চন। ওকে তো সবাই ভগবৎ বচ্চন নামেই ডাকে। আমি ভগবতের দিকে তাকাতেই এবার উনি লাজুক লাজুক মুখে কান এঁটো করে হাসতে থাকলেন । ভীষণ কৌতুহলে জিজ্ঞেস করে ফেললাম, কখনও ভাল একটা সেলুন করতে ইচ্ছে করে না ? যেখানে এসি থাকবে। গদি দেওয়া চেয়ার থাকবে। টিভি থাকবে। না, না.. সেকী!... কেন? এবার শর্মাজির এক মুখ আলো। জানেন কতজন আমার ফিকসড কাস্টমার? আমায় কত ভালবাসে জানেন? পুজোয় আমাকে নতুন জামা দেয়, আমার ছেলেকেও দেয়। বউয়ের জন্য শাড়ি আনে। আমার মনটা এসি ঘরের মত ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল হয়ে যায়। বড়লোকের সেলুনে এত ভালবাসা আছে নাকি? থাকতেই পারে না। আর একটা কথা, যেইসেন আছেন, তেইসন খুশি থাকতে জানতে হয়, বুঝলেন না! মুখ তুলে দেখলাম আকাশে সূর্য দেব এবার শর্মাজির দিকেই তাকিয়ে যেন হাসছে, মেঘ কেটে গেছে। একদিন এসে অমিতজীর স্টাইলে চুল কাটা দেখবই শর্মাজিকে এই কথা দিয়ে আমি বাড়ির দিকে পা বাড়ালাম একরাশ মন ভালো নিয়ে; আর সূর্যদেব কে মনে মনে বললাম, ‘ওদের রোদ- আলোয় ভরিয়ে রেখো ঠাকুর…’।
- প্রিয় হেডস্যার
এক জুন মাসের সকাল। ব্যাঙ্গালোরে সেন্ট জোশেফ বয়েজ স্কুলের ফাদার সক্কাল সক্কাল প্রেয়ার লাইনে ঘোষণা করলেন, 'ওয়ান অফ আওয়ার ওন রাহুল দ্রাবিড় , টুডে মেকিং হিজ টেষ্ট ডেবিউ অ্যাট লর্ডস।' টানা একটা লম্বা হাততালি। সেই টেষ্টের তিন দিনের দিন দেখা মিলল দুই নবাগতের। বেশ বিপরীতধর্মী ক্রিকেট দুজনার। লন্ডনে সেদিন অসম্ভব একটা শীতের সকাল। শহর তখন বরফাচ্ছাদিত। ফুলস্লিভ, সাথে একটা সোয়েটার। এই ওয়েদার মানিয়ে নেওয়া শক্ত। তবে সেই দুজনের চোয়াল সেদিন শক্ত ছিল লন্ডনের জমে থাকা বরফের চেয়েও বেশি । এরপর বেলা যত গড়িয়েছে- সাহস, ধৈর্য্য, আক্রমন, নৈপুণ্যের শিল্পে ভেসেছে লর্ডস। সেটা ছিলো শুরু। আজ থেকে ঠিক ত্রিশ বছর নয় দিন আগে। সেটাই ছিলো ইন্ডিয়ান ক্রিকেটের নবজাগরণ। আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্রিজটাউনে ফাইনালে জিতলে রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে ২০২৪য়ের টি২০ বিশ্বকাপ জিতবে ভারত, হারলে হবে রাণার্স। এ দুটোর যাই ঘটুক, একটা জিনিস বদলাবে না। একইরকম থেকে যাবেন রাহুল দ্রাবিড়, সেই ১৯৯৬য়ে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের গোড়ার দিনগুলির মতই। পরিসংখ্যানে চোখ রাখলেই বোঝা যাবে ভারতীয় ক্রিকেটে খেলোয়াড় হিসেবে অমরত্ব পেয়ে বসে আছেন রাহুল দ্রাবিড়। কোচ হিসেবে তিনি ভারতকে দিয়েছেন ২০১৮র অনূর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপ, ২০২৩য়ের এশিয়া কাপ। ২০১৬র অনূর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপ, আইসিসি-র বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আর ২০২৩য়ের বিশ্বকাপে তার কোচিংয়ে রোহিতের ভারত ফাইনালিস্ট । জীবন পাঠে সহজ থাকার বেসিকস ভোলেননি বলেই হারজিত আর হাসিকান্নায় একইরকম থেকে যেতে পারেন রাহুল দ্রাবিড়। খেলোয়াড় বা কোচের মাঠে জেতা হারা তো থাকবেই কিন্তু তার চেয়ে অনেক উপরে থেকে যায় মানুষ আর তার জীবনদর্শন। যেই জীবনদর্শনের গুনে আড়ালে থেকেই কাজ করে যাওয়া ক্রিকেটের এই একনিষ্ঠ সেনাপতির "দেওয়াল"-এ হেলান দিয়ে নিশ্চিন্তে দাঁড়িয়ে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা এই গর্বের অধ্যায়ের স্মৃতিচারণ করবেন আরো অনেক অনেক বছর। সেই জীবনদর্শন, যার ভেলায় ভেসে অমরত্ব থেকে প্রায় অলৌকিকতায় পৌঁছে গেছেন ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান হেডস্যার। ভালো থাকবেন Rahul Dravid।
- নিমন্ত্রণ
"আমাদের বাড়ি আসিস কিন্তু একদিন, নাহয় দুপুরে কটা ভাতই খেয়ে যাস.. " যত বড় হচ্ছি, এই কথা গুলো বলার লোক ক্রমশ কমে আসছে জীবন থেকে। টের পাচ্ছি, ছোটবেলার মতই মানুষের সাথে মানুষের আন্তরিকতা আজকাল ধোঁয়ার মতোন আকাশে মিলিয়ে যাচ্ছে রোজ একটু একটু করে। সময়টা কঠিন, কিন্তু তার চেয়েও কঠিন আজকাল মানুষের ভেতরের আসল মানুষটাকে চিনে উঠতে পারা। ছুঁয়ে থাকায় সোশ্যাল ডিস্টেন্স, ভালো রাখায় মেন্টাল ডিস্টেন্স আর এই এতকিছু নিয়ে তাল সামলে বাঁচতে বাঁচতে নিজের সাথে নিজের রোজ ভালো থাকায় আর এক প্রকার ডিস্টেন্স জারি হয়েছে নিয়ম করে। সেই ছোটবেলার মতন আজকাল আর দুপুরবেলার অকারণ মাছ ভাতের নেমন্তন্ন আর আসেনা। পার্টিতে যাই, গেট টুগেদারে যাই, অকেশনাল ইনভিটেশন-এও সাড়া দিই। আমার বাড়িতেও একইরকম ভাবে তাঁরা আসেন, শুধু দুপুরবেলায় ছোটবেলার মতো করে কারোর বাড়িতে স্নান করে চুল আঁচড়ে বাবু হয়ে মাটিতে, আসনে বা বাড়ির কাকিমা জেঠিমার ভাঁজ করা বাতিল শাড়িতে বসে ভাত খাওয়ার নেমন্তন্ন গুলো জীবন থেকে ধীরে ধীরে ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমি যেন এখনও খাস কলকাতার এই সাততলা ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে বসেও গন্ধ পাই; কোনো ফুল জেঠিমা বা ন কাকিমার কাঠের জালে রান্নার গন্ধ। কোনো কোনো অলস দুপুরে আমার এই সাজানো ফ্ল্যাট ভেসে যায় সেই মায়াময় গন্ধে, অথচ সে গন্ধ আমার ঝাপসা হয়ে আসা ছোটোবেলার মতই অধরা । এই গন্ধ আমায় জানান দেয়, আসলে আমরা দুপুরের সেই অকারণ মাছ ভাতের 'নেমন্তন্ন' থেকে আজকের 'পার্টি থ্রো' করার মধ্যে কবে যেন 'আন্তরিকতা' নামক শব্দটা থেকে এক আলোকবর্ষ সরে এসেছি (পড়ুন, পিছিয়ে এসেছি)...।
- নভেম্বর মাসে ভারতে ভ্রমণের জন্য ৫টি অবশ্যই দর্শনীয় স্থান: একটি নিখুঁত গাইড
ভারত বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং জলবায়ুর দেশ। যদিও এটি সারা বছরই সুন্দর, নভেম্বর কিছু অঞ্চলে বিশেষ আকর্ষণ নিয়ে আসে। বর্ষার পরে পরিষ্কার আকাশ এবং শীতল আবহাওয়া ভ্রমণের জন্য আদর্শ সময়। আপনি যদি নভেম্বরে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তবে এখানে ৫টি অবশ্যই দেখার মতো স্থান রয়েছে, একটি বর্ণনা, কীভাবে পৌঁছানো যায় এবং আনুমানিক খরচ সহ। --- ১. রাজস্থান: জয়সালমেরের সোনালী মরুভূমি বর্ণনা: "সোনার শহর" নামে পরিচিত, জয়সালমের রাজস্থানের থর মরুভূমির মাঝে একটি রত্ন। এর বিশাল দুর্গ, প্রাসাদ এবং বালিয়াড়ি দিয়ে সমৃদ্ধ, নভেম্বর হলো এটি দেখার সেরা সময় যখন মরুভূমির তীব্র সূর্য কিছুটা শান্ত হয়। জয়সালমের দুর্গ, পাতোয়োঁ কি হাভেলি এবং সাম স্যান্ড ডুনস সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে। উটের পিঠে মরুভূমির সাফারি একটি একবারের অভিজ্ঞতা। কীভাবে পৌঁছাবেন: বিমানপথে: নিকটতম বিমানবন্দর হলো যোধপুর বিমানবন্দর, যা প্রায় ২৮৫ কিমি দূরে। সেখান থেকে আপনি একটি ট্যাক্সি বা বাস ভাড়া করে জয়সালমের পৌঁছাতে পারেন। রেলপথে: জয়সালমের প্রধান শহরগুলির সাথে রেলপথে যুক্ত, যেমন দিল্লি, জয়পুর এবং যোধপুর। সড়কপথে: জয়সালমের কাছাকাছি শহরগুলি থেকে বাস এবং ব্যক্তিগত ট্যাক্সির মাধ্যমে সহজেই পৌঁছানো যায়। আনুমানিক খরচ: থাকা: ₹২,৫০০ - ₹১০,০০০ প্রতি রাত (হোটেল অনুযায়ী) খাবার: ₹৫০০ - ₹১,০০০ প্রতি দিন কর্মকাণ্ড (উটের সাফারি, মরুভূমির ক্যাম্প): ₹২,০০০ - ₹৪,০০০ মোট আনুমানিক খরচ ৩ দিনের জন্য: ₹১০,০০০ - ₹২৫,০০০ প্রতি ব্যক্তি --- ২. গোয়া: নভেম্বর থেকে শুরু হয় সমুদ্রতীরের আনন্দ বর্ণনা: গোয়া নভেম্বরে সমুদ্রপ্রেমীদের জন্য আদর্শ, কারণ এই সময়ে পর্যটন মৌসুম শুরু হয় এবং ভিড় কম থাকে। বাগা, অঞ্জুনা বা পালোলেম সমুদ্রতীরে রোদ পোহানো, পর্তুগিজ স্থাপত্য দেখা এবং প্যারাসেইলিং, জেট স্কিইং-এর মতো জলক্রীড়ায় অংশ নেওয়া জনপ্রিয় কর্মকাণ্ড। নভেম্বরে অনুষ্ঠিত গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ভ্রমণে একটি সাংস্কৃতিক স্বাদ যোগ করে। কীভাবে পৌঁছাবেন: বিমানপথে: গোয়ার ডাবোলিম বিমানবন্দর বড় শহরগুলির সাথে যুক্ত। রেলপথে: মাদগাঁও এবং ভাস্কো-দা-গামা প্রধান রেলওয়ে স্টেশন। সড়কপথে: মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটক থেকে নিয়মিত বাস এবং ট্যাক্সি চলে। আনুমানিক খরচ: থাকা: ₹১,৫০০ - ₹৮,০০০ প্রতি রাত (হোটেল/রিসোর্ট অনুযায়ী) খাবার: ₹৩০০ - ₹১,২০০ প্রতি দিন কর্মকাণ্ড (জলক্রীড়া, পার্টি): ₹২,০০০ - ₹৫,০০০ মোট আনুমানিক খরচ ৩ দিনের জন্য: ₹১০,০০০ - ₹২০,০০০ প্রতি ব্যক্তি --- ৩. বারানসি: গঙ্গার তীরে আধ্যাত্মিকতা বর্ণনা: বিশ্বের প্রাচীনতম শহরগুলির মধ্যে অন্যতম বারানসি, নভেম্বর মাসে আধ্যাত্মিকতায় ভরে ওঠে। ঠান্ডা আবহাওয়া মন্দির পরিদর্শন, গঙ্গার তীরে সন্ধ্যা আরতির অভিজ্ঞতা এবং পবিত্র নদীর ধারে জীবনের অনন্ত রহস্য দেখার জন্য উপযুক্ত। নভেম্বর মাসে দেব দীপাবলি উৎসবও উদযাপিত হয়, যেখানে হাজার হাজার প্রদীপের আলোয় ঘাটগুলি আলোকিত হয়। কীভাবে পৌঁছাবেন: বিমানপথে: বারানসি লাল বাহাদুর শাস্ত্রী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি প্রধান শহরগুলির সাথে সংযুক্ত। রেলপথে: বারানসি জংশন এবং মুঘলসরাই জংশন নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন। সড়কপথে: লখনৌ, এলাহাবাদ এবং পাটনা থেকে রাষ্ট্রীয় বাস এবং ব্যক্তিগত ট্যাক্সি সহজলভ্য। আনুমানিক খরচ: থাকা: ₹১,০০০ - ₹৫,০০০ প্রতি রাত (হোটেল অনুযায়ী) খাবার: ₹২০০ - ₹৮০০ প্রতি দিন কর্মকাণ্ড (নৌকা ভ্রমণ, মন্দির দর্শন): ₹৫০০ - ₹১,৫০০ মোট আনুমানিক খরচ ৩ দিনের জন্য: ₹৬,০০০ - ₹১৫,০০০ প্রতি ব্যক্তি --- ৪. কেরালা: মুন্নারে প্রকৃতির কোলে বর্ণনা: কেরালার পাহাড়ি শহর মুন্নার নভেম্বর মাসে সবুজ চা বাগান, কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড় এবং মনোরম জলবায়ু নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবকাশ দেয়। এটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য স্বর্গ। এরাভিকুলাম জাতীয় উদ্যান, আট্টুকাল জলপ্রপাত এবং চা বাগান দর্শন মনকে প্রশান্ত করে। আপনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মাধ্যমে শরীর এবং আত্মাকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন। কীভাবে পৌঁছাবেন: বিমানপথে: নিকটতম বিমানবন্দর কোচিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, প্রায় ১১০ কিমি দূরে। রেলপথে: নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হলো আলুভা, প্রায় ১১০ কিমি দূরে। সড়কপথে: কোচিন এবং কাছাকাছি শহরগুলি থেকে নিয়মিত বাস এবং ব্যক্তিগত ট্যাক্সি উপলব্ধ। আনুমানিক খরচ: থাকা: ₹২,০০০ - ₹৭,০০০ প্রতি রাত (হোটেল/রিসোর্ট অনুযায়ী) খাবার: ₹৪০০ - ₹১,০০০ প্রতি দিন কর্মকাণ্ড (চা বাগান দর্শন, জাতীয় উদ্যান): ₹৫০০ - ₹২,০০০ মোট আনুমানিক খরচ ৩ দিনের জন্য: ₹৮,০০০ - ₹১৮,০০০ প্রতি ব্যক্তি --- ৫. আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ: গ্রীষ্মমন্ডলীয় স্বর্গ বর্ণনা: নভেম্বর হলো আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ভ্রমণের সেরা সময়, কারণ বর্ষা শেষ হয় এবং পরিষ্কার আকাশ ফিরে আসে। নীল জল, প্রবালপ্রাচীর এবং সাদা বালির সমুদ্রতীর, যেমন রাধানগর এবং নীল দ্বীপ, একটি স্বপ্নময় গন্তব্য তৈরি করে। স্নরকেলিং বা স্কুবা ডাইভিংয়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধ সামুদ্রিক জীবন আবিষ্কার করবেন। ঐতিহাসিক স্থাপনা, যেমন সেলুলার জেল, ভ্রমণে গভীরতা যোগ করে। কীভাবে পৌঁছাবেন: বিমানপথে: পোর্ট ব্লেয়ারের বীর সাভারকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি প্রধান ভারতীয় শহরগুলির সাথে সংযুক্ত। জলপথে: কলকাতা এবং চেন্নাই থেকে যাত্রী জাহাজ উপলব্ধ, তবে বিমান সেবাই বেশি দ্রুত। সড়কপথ (দ্বীপগুলির মধ্যে): স্থানীয় যানবাহনগুলির মধ্যে রয়েছে অটো-রিকশা, বাস এবং ট্যাক্সি, এবং বিভিন্ন দ্বীপের মধ্যে ফেরি পরিষেবা রয়েছে। আনুমানিক খরচ: থাকা: ₹৩,০০০ - ₹১০,০০০ প্রতি রাত (হোটেল/রিসোর্ট অনুযায়ী) খাবার: ₹৫০০ - ₹১,২০০ প্রতি দিন কর্মকাণ্ড (স্নরকেলিং, স্কুবা ডাইভিং): ₹২,০০০ - ₹৫,০০




_edited.jpg)










