top of page

এই শীতে বেড়িয়ে আসুন হাম্পি: বিজয়নগর সাম্রাজ্যের ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ

Updated: Oct 20, 2024

এই শীতে বেড়িয়ে আসুন হাম্পি: বিজয়নগর সাম্রাজ্যের ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ


বেড়াতে যাওয়ার পছন্দের জায়গা জানতে একটা কমন প্রশ্ন করা হয়, পাহাড় না সমুদ্র? এই শীতে এই কমন প্রশ্নের উত্তরে একটা আনকমন উররর দিন। উত্তরে বলুন- হাম্পি।

ree

কেন যাবেন ?


আপনি যদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হন, তাহলে হারিয়ে যাওয়া বিজয়নগর সাম্রাজ্যের রাজধানী বিজয়নগরের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আপনাকে অবশ্যই হাম্পিতে যেতে হবে। হাম্পি, উত্তর কর্নাটকের বেলারি জেলার একটি গ্রাম, যা হসপেট শহরের কাছে অবস্থিত। এখানে দ্রাবিড় স্থাপত্য, মন্দির ও প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে আছে, যা চোখে পড়ার মতো। এই কারণেই হাম্পি গ্রামটি ইউনেস্কো কর্তৃক অন্যতম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত।



বিজয়নগর সাম্রাজ্য ভারতের ইতিহাসে অত্যন্ত পরিচিত। এই রাজবংশের প্রধান শাসক ছিলেন কৃষ্ণদেবরায়। বিজয়নগর সাম্রাজ্যের প্রধান ঈশ্বর হিসেবে ভগবান শিব (বিরূপাক্ষেশ্বর) এবং দেবী পার্বতী (পম্পা) কে পূজিত করা হয়। হাম্পির মন্দিরগুলো আংশিক ও কিছু মন্দির সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। রয়ে গেছে কানে কানে গল্প বলা ইতিহাস। এছাড়া হাম্পির চোখজুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনার মন জয় করবেই। আসুন জেনে নিই হাপমিতে গিয়ে কি কি দেখবেন

১. বিরুপাক্ষ মন্দির: এই মন্দির ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত। এটি সপ্তম শতাব্দী থেকে অবিচ্ছিন্নভাবে রয়েছে এবং ভারতের প্রাচীনতম কার্যকরী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম। মন্দিরের গর্ভগৃহের বাঁদিকে ভুবনেশ্বরী মন্দির এবং গর্ভগৃহের পিছনে বিরুপাক্ষেশ্বর গোপুরমের উলটানো রূপ রয়েছে।


২. বিজয়া বিট্টলা স্মৃতিস্তম্ভ: এটি একটি মূর্তিবিহীন স্মৃতিস্তম্ভ, যেখানে কোনও পুরোহিত নেই। পাথরের রথ এবং মিউজিক স্তম্ভ এখানে দেখা যায়।


৩. হাজারা রাম স্মৃতিসৌধ: এই মন্দিরটিও মূর্তি বিহীন, যেখানে রামায়ণ সম্পর্কিত ১০০০ শিল্পকলা খোদিত রয়েছে।


৪. রানির স্নানাগার: রাজা এবং তাঁর স্ত্রীদের জন্য রাজকীয় স্নানপর্বের বিলাসিতার প্রতীক। জটিল নকশা এবং গম্বুজ আকৃতির অসামান্য কারুকাজ এখানে দেখা যায়।


৫. লোটাস মহল: এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ স্থাপনা, যা ইন্দো-ইসলামিক স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত। পদ্ম-আকৃতির কাঠামো এবং খিলানযুক্ত জানালাগুলি এই মহলের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে।


৬. প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘর: এখানে চতুর্দশ থেকে ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যে আসা পর্যটকদের স্মৃতিচিহ্নগুলো সংরক্ষিত রয়েছে।


কীভাবে যাবেন


কলকাতা থেকে ট্রেনে বা বিমানে বেঙ্গালুরু যেতে পারেন। সেখান থেকে গাড়িতে হাম্পি যেতে হবে, যা প্রায় তিনশো কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। সময় লাগবে প্রায় ছয় ঘণ্টা।


থাকার ব্যবস্থা


হাম্পিতে অনেক ছোট-বড় হোটেল এবং গেস্ট হাউস রয়েছে। তবে হাম্পি বাজারের কাছে থাকা সবচেয়ে সুবিধাজনক।


হাম্পি ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একসাথে মিলে একটি অনন্য অভিজ্ঞতা, যা আপনার প্রিয় ভ্রমনতালিকায় জায়গা করে নেবেই।

ree

Comments

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating
bottom of page