top of page

ভালো পাঠক হওয়ার ১০ টি সহজ ও কার্যকর উপায়।

ভালো পাঠক হওয়ার ১০ টি সেরা উপায়।

বই আমাদের প্রিয় বন্ধু – সারাজীবনে আমরা এই কথাটা বিভিন্নভাবে পড়েছি, জেনেছি, অনুভব করেছি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার দরুণ আমদের ‘স্ক্রিন টাইম’ বাড়ছে এবং ‘বুক টাইম’ তলানিতে ঠেকেছে। অনেকে আবার পড়তে ভালোবাসে কিন্তু মন দিয়ে আর পড়তে পারে না। এর কারণ নিয়ে বিশদ আলোচনায় আজ আর যাচ্ছি না। আজ বরং মন দিই কিভাবে ভাল পাঠক হওয়া যায় আর কিভাবে আবার পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা যায় সেই সমাধানে।

নিচে কিভাবে একজন ভালো পাঠক হওয়া যায় তার ১০টি সেরা টিপস উল্লেখ করা হলো:


১) যে বইগুলো আপনাকে আনন্দ দেয় সেগুলো পড়ুন যতক্ষণ না আপনি পড়ার অভ্যাস আবার গড়ে তুলছেন। কোন ধরণের বই আপনাকে মাথাকে আরাম দিচ্ছে করে তা খুঁজে বের করুন এবং সেসব বই পড়ুন।


২) কোনো বই শুধুমাত্র আপনার ‘পড়া উচিত’ বলে পড়া শুরু করবেন না। জীবনে অনেককিছুই বাধ্যতামূলক ভাবে আমাদের করতে হয়। কিন্তু এটি একটি নতুন বই পড়তে শুরু করার জন্য কখনোই যথেষ্ট কারণ নয়।


৩) সঠিক বই সঠিক সময়ে আপনাকে ঠিকই খুঁজে নেবে যদি আপনি কেবল আপনার কৌতূহলকে অনুসরণ করেন। আমি আমার জীবন বদলে যাওয়া যে বইগুলো পড়েছি তা অন্যদের সুপারিশে নয়, বরং আমার নিজের কৌতূহল অনুসরণ করে এসেছে।


৪) পুরো বইটি একেবারে পড়ার পরিবর্তে বইটির কয়েকটি পাতা উল্টে প্রথমে দেখে নিন এবং আকর্ষনীয় কিছু পেলে সেখান থেকেই পড়া শুরু করুন।


৫) পড়তে থাকা বই শেষ করার উপর জোর দেবেন না। আপনি কি একটি ইউটিউব ভিডিও শেষ না করার জন্য দোষী অনুভব করেন? নিশ্চয়ই না। আপনি স্বাচ্ছন্দ্যে স্কিপ করেন, যা এবং যতটুকু প্রয়োজন তা খুঁজে পেলেই ভিডিওটি স্বচ্ছন্দে বন্ধ করেন। বইয়ের ক্ষেত্রেও সমান নিয়মই প্রযোয্য।


৬) বইটি বন্ধ করার সময় যদি পড়ার আগ্রহ হারান এবং আবার শুরু করার তাগিদ অনুভব না করেন তাহলে সেটি আপনার জন্য নয়। এটি এড়িয়ে যান এবং কিছু এমন কিছু খুঁজুন যা আপনাকে আকৃষ্ট করবে।


৭) বই শুধু পড়লেই হবে না, সেগুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করুন। একট গোটা বইতে আপনার শিক্ষনীয় বিষয়গুলো আলাদা করুন এবং সেগুলো প্রয়োগ করে আপনার অভ্যাস, জীবনযাপন বা ব্যবসা উন্নত করুন।


৮) যদি আপনি কোনও ই-বুক বা অডিওবুক পছন্দ করেন, তাহলে তার একটি হার্টকপিও কিনুন এবং পছন্দের জায়গাগুলো ছাপার অক্ষরে খুঁজে বের করে আবার পড়ুন। এটি মনঃসংযোগ বাড়াতে বিপুল সাহায্য করে।


৯) যদি একটি বই আপনার জীবন পরিবর্তন করে, তাহলে চেষ্টা করুন বছরে একবার করে এটি পড়তে। প্রয়্যেকবার নতুন আবিস্কারের আমন্দ দেবে এই অভ্যাস।


১০) আপনার প্রিয় বইগুলো পুনরায় পড়া আপনাকে ধারণাগুলো সময়ে সময়ে পুনঃগঠনে সাহায্য করে এবং এগুলোকে দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিতে সংরক্ষণ করতে সহায়তা করে।


ree

সবশেষে শুরুতেই আবার ফিরে যাব এবং বলবো ‘বই’ এর বিকল্প সত্যিই নেই। বই পড়ুন ও পড়ান এবং এই লেখা এতটা পড়ে ফেলেছেন মানেই আপনি অবশ্যই একজন সু পাঠক হওয়ার প্রাথমিক পরীক্ষায় সসন্মানে উত্তীর্ণ।

1 Comment

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating
Sukamal Nath
Sukamal Nath
Oct 15, 2024
Rated 4 out of 5 stars.

Good

Like
bottom of page