top of page

প্রিয় হেডস্যার

এক জুন মাসের সকাল। ব্যাঙ্গালোরে সেন্ট জোশেফ বয়েজ স্কুলের ফাদার সক্কাল সক্কাল প্রেয়ার লাইনে ঘোষণা করলেন, 'ওয়ান অফ আওয়ার ওন রাহুল দ্রাবিড় , টুডে মেকিং হিজ টেষ্ট ডেবিউ অ্যাট লর্ডস।' টানা একটা লম্বা হাততালি। সেই টেষ্টের তিন দিনের দিন দেখা মিলল দুই নবাগতের। বেশ বিপরীতধর্মী ক্রিকেট দুজনার। লন্ডনে সেদিন অসম্ভব একটা শীতের সকাল। শহর তখন বরফাচ্ছাদিত। ফুলস্লিভ, সাথে একটা সোয়েটার। এই ওয়েদার মানিয়ে নেওয়া শক্ত। তবে সেই দুজনের চোয়াল সেদিন শক্ত ছিল লন্ডনের জমে থাকা বরফের চেয়েও বেশি । এরপর বেলা যত গড়িয়েছে- সাহস, ধৈর্য্য, আক্রমন, নৈপুণ্যের শিল্পে ভেসেছে লর্ডস।

সেটা ছিলো শুরু। আজ থেকে ঠিক ত্রিশ বছর নয় দিন আগে। সেটাই ছিলো ইন্ডিয়ান ক্রিকেটের নবজাগরণ।

আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্রিজটাউনে ফাইনালে জিতলে রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে ২০২৪য়ের টি২০ বিশ্বকাপ জিতবে ভারত, হারলে হবে রাণার্স। এ দুটোর যাই ঘটুক, একটা জিনিস বদলাবে না। একইরকম থেকে যাবেন রাহুল দ্রাবিড়, সেই ১৯৯৬য়ে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের গোড়ার দিনগুলির মতই।

পরিসংখ্যানে চোখ রাখলেই বোঝা যাবে ভারতীয় ক্রিকেটে খেলোয়াড় হিসেবে অমরত্ব পেয়ে বসে আছেন রাহুল দ্রাবিড়। কোচ হিসেবে তিনি ভারতকে দিয়েছেন ২০১৮র অনূর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপ, ২০২৩য়ের এশিয়া কাপ। ২০১৬র অনূর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপ, আইসিসি-র বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আর ২০২৩য়ের বিশ্বকাপে তার

কোচিংয়ে রোহিতের ভারত ফাইনালিস্ট ।

জীবন পাঠে সহজ থাকার বেসিকস ভোলেননি বলেই হারজিত আর হাসিকান্নায় একইরকম থেকে যেতে পারেন রাহুল দ্রাবিড়। খেলোয়াড় বা কোচের মাঠে জেতা হারা তো থাকবেই কিন্তু তার চেয়ে অনেক উপরে থেকে যায় মানুষ আর তার জীবনদর্শন। যেই জীবনদর্শনের গুনে আড়ালে থেকেই কাজ করে যাওয়া ক্রিকেটের এই একনিষ্ঠ সেনাপতির "দেওয়াল"-এ হেলান দিয়ে নিশ্চিন্তে দাঁড়িয়ে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা এই গর্বের অধ্যায়ের স্মৃতিচারণ করবেন আরো অনেক অনেক বছর। সেই জীবনদর্শন, যার ভেলায় ভেসে অমরত্ব থেকে প্রায় অলৌকিকতায় পৌঁছে গেছেন ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান হেডস্যার।

ভালো থাকবেন Rahul Dravid।

ree

Comments

Rated 0 out of 5 stars.
No ratings yet

Add a rating
bottom of page